কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, সাহাবুদ্দিনের বাড়ি আমডাঙার বড়গাছিয়া এলাকায়। মধ্যমগ্রামে ‘রাম-বাবাই’ জোড়া খুনে তার উঠে এসেছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মধ্যমগ্রাম শহরে ঢাকাই গৌতমকে গুলি করে খুন করার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিল এই সাহাবুদ্দিন। এফআইআরেও তার নাম ছিল। এমনকী, পুলিস ওই ঘটনায়ঁ তদন্ত করে তার নামে চার্জশিটও দিয়েছিল। আদালতের নির্দেশে তার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত টুবাই সহ মোট ১৪ জন অভিযুক্ত ছিল। তার মধ্যে সাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করায় ওই ঘটনায় মোট ১৩ জন গ্রেপ্তার হল। টুবাই এখনও পলাতক।
অন্যদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে গত ২৮ আগস্ট রাতে উত্তাল হয়েছিল আমডাঙার বইছগাছি গ্রাম। ঘটনার দিনই তৃণমূলের দু’জন খুন হয়েছিলেন এবং এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। কয়েকদিন পর ওই ঘটনায় জখম আরও এক তৃণমূলকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। অর্থাৎ ওই গণ্ডগোলে চারজন খুন হয়েছিলেন। গোটা রাজ্য ওই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল। পুলিস জানিয়েছে, আমডাঙাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ছিল সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জাকির বল্লুক। তাকে পুলিস আগেই আজমির শরিফ থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। এই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত ছিল এই সাহাবুদ্দিন। সে গণ্ডগোলের পর ওই এলাকায় একটি বিলের উপর বাঁশের মাচা করে লুকিয়েছিল। পুলিস সেখানে তল্লাশিও করেছিল। কিন্তু, জলের মধ্যে দিয়ে সে পালিয়ে যায়। তবে, পুলিস তার ডেরা থেকে প্রচুর পরিমান বোমা এবং বোমা তৈরির কাঁচা মশলা উদ্ধার করেছিল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আমডাঙাকাণ্ডে আগে থেকে অস্ত্র মজুত করারও অভিযোগ উঠেছিল। জাকিরকে জেরা করে পুলিস বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছিল। পুলিসের দাবি, সাহাবুদ্দিনকে জেরা করেও অস্ত্রের সন্ধান মিলতে পারে। সে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে বেড়াচ্ছিল। এদিন দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর কোন কোন থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।