কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
হাওড়ার পুলিস কমিশনার তন্ময় রায়চৗধুরি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলেছি, এই চক্রটি শুধু এই রাজ্যে নয়, অন্যান্য রাজ্যেও সক্রিয়। আমরা সব দিকই তদন্ত করে দেখছি। এখনই বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তা বলেছেন, মূলত এই রাজ্য থেকে টাকা পাঠানোর দায়িত্বে শরণ সিংই ছিল। সে বিভিন্ন কল সেন্টার থেকে প্রতারণা করে তোলা টাকা মুম্বইয়ে পাঠাত। তারপর সেখান থেকে তা দুবাই হয়ে পাকিস্তানে যেত। আবার দিল্লিতেও কিছু টাকা ও যন্ত্রাংশ যেত। ধৃতের কাছ থেকে পুলিস জানতে পেরেছে, দিল্লি ও মুম্বই ছাড়াও আরও কয়েকটি শহরে এই চক্র সক্রিয় আছে। তারাও বিভিন্ন এজেন্ট মারফত টাকা তুলত। কিন্তু, এই রাজ্যে তাদের এজেন্ট কে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বুধবার শরণ সিংকে গ্রেপ্তারের পর দফায় দফায় পুলিস কর্তারা তাকে জেরা করেন। বৃহস্পতিবারও কয়েক দফায় জেরা করা হয়। এদিন হাওড়া সিটি পুলিসের কর্তারা এই নিয়ে একটি বৈঠকেও বসেন। তদন্তের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে যে সাতজনকে গ্রেপ্তার হয়েছিল তাদের জেরা করেই শরণ সিংয়ের খোঁজ মিলেছিল। কলকাতার দু’জন পরিবহণ ব্যবসায়ীর নামও পুলিস জানতে পেরেছিল। তাদের লরিতেই যন্ত্রাংশের আড়ালে অস্ত্র পাচার হত। একই সঙ্গে কয়েকটি কল সেন্টারে হানা দিয়ে পুলিস আরও কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছে। তাদের খোঁজে তল্লাশিও শুরু হয়েছে। কিন্তু, এখনই তাদের নাগাল পুলিস পায়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরেও পুলিস কলকাতায় ওই সন্দেহভাজনদের একজনের ডেরায় হানা দিয়েছিল। কিন্তু, পুলিস পৌঁছানোর আগেই তারা গা ঢাকা দিয়েছে। তবে সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিসের হাতে এসেছে। যা থেকে আগামীদিনে তদন্তে অনেক অগ্রগতি সম্ভব বলেই পুলিস মনে করছে। পুলিস সূত্রের খবর, এই টাকা যে পাকিস্তানি জঙ্গিদের কাছে যেত, এই নিয়ে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ইতিমধ্যেই পুলিসের কাছে এসেছে। ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার এক ব্যবসায়ীর নাম পুলিস জানতে পেরেছে। তার খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।