কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
প্রথম কাহিনী দুবাইয়ের পলাতক রাজকুমারী লতিফার। তিনি দুবাইয়ের শাসক তথা সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল-মাকুমের কন্যা। গোয়েন্দা সূত্রের বক্তব্য, ভারতের সহযোগিতায় এই পলাতক রাজকুমারীর হদিশ মিলেছিল। মিচেলের প্রত্যর্পণে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। রাজকুমারী লতিফা চলতি বছরের গোড়ার দিকে দুবাই থেকে পালান। তিনি সাত বছর ধরে পালানোর পরিকল্পনা করছিলেন। এক ফরাসি-মার্কিন নাগরিকের নৌকায় দুবাই থেকে চম্পট দেন রাজকুমারী। লক্ষ্য ছিল গোয়ায় এসে ওঠা। কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী, গোয়া উপকূল থেকে ৩০ মাইল দূরে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায় রাজকুমারীর সেই নৌকা। তাঁকে জোর করে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই ঘটনার পর থেকে রাজকুমারী লতিফাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। রাজকুমারীকে ফেরাতে ভারতের এই সহযোগিতা মিচেলের প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়ায় বড় ভূমিকা পালন করেছিল বলে খবর। কিন্তু তা উল্লেখযোগ্য হলেও একমাত্র কারণ নয়। এর সেই সূত্রের চলে আসছে আমিরশাহির যুবরাজ মহম্মদ বিন জায়েদের কাহিনী।
১৯ মাস আগে মিচেলের প্রত্যর্পণের আবেদন জানিয়েছিল ভারত। আর সংযুক্ত আরব আমিরশাহি আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে ওই ব্রিটিশ ‘মিডলম্যান’কে প্রত্যর্পণের মাত্র এক সপ্তাহ আগে। মিচেলের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছিল ২০১৫ সালের নভেম্বরে। ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় মিচেলকে প্রাথমিকভাবে ভারতে প্রত্যর্পণের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আমিরশাহি। কিন্তু পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আমিরশাহির যুবরাজ মহম্মদ বিন জায়েদের মধ্যে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক প্রত্যর্পণের গোটা প্রক্রিয়াকে মসৃণ করে দেয়।